অনেক প্রফেশনাল আমাকে বলেন, ভাই একটা cv format bd দিবেন?
আপনি সিভি ফরমাট গুগোল করলে পেয়ে যাবেন তবে সেটা তৈরি করতে আপনাকে লিখতে হবে, আপনার ইনফরমেশন দরকার হবে। কপি পেস্ট করলে হবে, তবে সেটা আপনাকে প্রেজেন্ট নাও করতে পারে। তার থেকে বড় ব্যপার হলো আপনি যেটা ফরমাট মনে করেন এটকে আসলে ফরমাট বলে না৷
একটা সিভির বৈশিষ্ট হল আপনার পারফরম্যান্স, আপনার অর্জন-নট ফরমাট। আপনার অর্জন আপনি sequentially যদি অরগানাইজ করতে পারেন এটা একটা ফরমেট হয়ে যাবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক cv format bd কত ধরনের হয়।
ফরমাট তিন ধরনের হয়ঃ
১। রিভার্স কানলজিকাল ফরমাট।
২। স্কিল বেস ফরমাট।
৩। কম্বাইন্ড বা হাইব্রিড ফরমাট।
এখন চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক কোনটা কোথায় ব্যবহার করা যায়।
১। রিভার্স কানলজিকাল ফরমাটঃ
এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং ব্যবহারিক জীবনবৃত্তান্ত বিন্যাস। একটি বিপরীত-কালানুক্রমিক সারসংকলন বিপরীত-কালানুক্রমিক ক্রমে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা তালিকাভুক্ত করে।
যা যা থাকে এই সিভি ফরমাটেঃ
Contact Info – আপনার নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল, অবস্থান এবং ইমেল ঠিকানা। আপনি একটি LinkedIn বা GitHub প্রোফাইলের মতো দরকারী লিঙ্কগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
Career Summary – আপনার শিরোনাম। আপনি যে অবস্থানের জন্য আবেদন করছেন সেটির প্রতিফলন করা উচিত।
Career Objective – আপনার কাজের অভিজ্ঞতার একটি সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ, বা একটি নির্দিষ্ট পদের জন্য আবেদন করার জন্য আপনার উদ্দেশ্য।
Work Experience –
বিপরীত-কালানুক্রমিক ক্রমে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা। যখন সম্ভব, দায়িত্বের উপর কৃতিত্বের কথা বলুন।
Skills – আপনি যে পদের জন্য আবেদন করছেন তার জন্য প্রাসঙ্গিক দক্ষতা।
Education- আপনার শিক্ষাগত ইতিহাস এখানকার জন্য। আপনার যদি MBA বা BBA করা থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষা বাদে লিখুন।
Others Relavent Information – স্বেচ্ছাসেবক কাজ, প্রকল্প, পার্টটাইম, ব্যক্তিগত তর্থ, একাডেমিক এওয়ার্ড ইত্যাদির এই বিভাগে রাখা যায়। যদিও সেগুলি গেম-চেঞ্জার নয়, এগুলো আপনার জীবনবৃত্তান্তে কিছু জায়গা পূরণ করতে সাহায্য করবে।
এই ফরমাটের সুবিধা কি?
– নিয়োগকর্তা এই ধরনের ফরমাট পছন্দ করেন।
-কাজের অভিজ্ঞতা সহজে পড়া যায়।
-এটি সবথেকে পপুলার ফরমাট।
এই ফরমাটের অসুবিধা কি?
– যারা সবে গ্রাজুয়েশন করেছেন তার এটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
– সেক্টর পরিবর্তন করার জন্য এখানে রাখার মত তেমন কিছু থাকে না।
– কাজের গ্যাপ স্পষ্ট করে।
২। স্কিল বেস ফরমাটঃ
স্কিল বেস ফরমাট ভিত্তিক জীবনবৃত্তান্ত নামেও পরিচিত। এই ফর্ম্যাটটিকে অন্য দুটি থেকে আলাদা করার বিষয়টি হল এটি আপনার কাজের অভিজ্ঞতার চেয়ে আপনার দক্ষতার উপর বেশি ফোকাস করে। এটাকে ফাংশনাল সিভি ফরমাট ও বলা চলে।
যা যা থাকে এই সিভি ফরমাটেঃ
Contact Information:
Resume Summary or Objective:
Professional Title:
Skills Summary:
Additional Skills:
Work Experience:
Education:
স্কিল বেস ফরমাটঃ সুবিধা, অসুবিধাঃ
– এটা নিদিষ্ট দক্ষতা হাইলাইট করার জন্য ভাল।
-যদি সেক্টর পরিবর্তন করতে চান তবে তার কারন ব্যাখ্যা করতে পারেন যে সেই স্কিলগুলো কিভাবে এই কাজকে প্রভাবিত করতে পারে।
-নবীনদের জন্য এটি খুব দরকারি।
-আপনার অভিজ্ঞতা কম হলে এই ধরনের ফরমাট আপনার জন্য।
-এই ধরনের ফরমাট ATS Friendly নয়।
-এটির সাথে বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা পরিচিত নয়।
৩। কম্বাইন্ড বা হাইব্রিড ফরমাট-আপনি সম্ভবত ইতিমধ্যে অনুমান করেছেন, এটি অন্য দুটি ফর্ম্যাটের সংমিশ্রণ। এটি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উভয়ের উপর দৃষ্টি রাখে।
যা যা থাকে এই সিভি ফরমাটেঃ
Contact Information:
Skills Summary:
Additional Skills:
Work Experience:
Education:
কম্বাইন্ত ফরমাটঃ সুবিধা, অসুবিধা কি?
-এই ফরমেটটিতে দক্ষতা, অর্জন গুলো ফুটে ওঠে।
-প্রাসঙ্গিক চাকরিতে কর্মসংস্থানের উপর কম জোর দেয়।
-বিভিন্ন ধরনের জবের ক্ষেত্রে স্কিলগুলোকে একত্রিত করে কাজে লাগায়।
-কর্মসংস্থানের গ্যাপকে উপস্থাপন না করে অভিজ্ঞতা দেখান যায়।
অভিজ্ঞদের জন্য সফল সিভিতে যেভাবে সিকোয়েন্স হয়।
১। প্রথমে ফাইল নাম নির্বাচন করুন Resume_Name_Years Of Experience_Top Academic Qualification। CV বাম পাশের সাইড অবলম্বন করা ভালো। নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার (অবশ্যই অনলাইনে একটিভ থাকহবে), ইমেইল, লিংকডিনের ইউজার নাম থাকবে। উপরের ডান পাশে একটি ছবি সংযোগ থাকবে। এমন কোন ফন্ট, সেড ব্যবহার করা উচিত নয় যেটি গ্রহণযোগ্য নয়। নিজের নাম ১৪ ফন্ট সাইজে হবে এবং বাকি সব ফন্ট সাইজ ১০ হবে অথবা ১০.৫ । রিজুমির উপরে রিজুমি বা সিভি লেখার কোন দরকার নেই। কোন প্রকার স্টাইল রিজুমিতে গ্রহণযোগ্য নয়। ০ থেকে ১০ বছর অভিজ্ঞদের জন্য দুই পেজ এবং ১০ থেকে ৪০ বছর তিন পেজ বা চারপেজ হতে পারে।
২। Career Summary লিখুন চারটি বুলেটপয়েন্ট দিয়ে যদি আপনার অভিজ্ঞতা দশ বছরের কম থাকে। একটু ভারি অভিজ্ঞতা হলে ছয়টা বুলেট পয়েন্ট করে আপনার সামারি লিখতে পারেন। আর আপনি যদি প্রফেশনাল হন তবে এটা কিন্তু একটু ভিন্ন কায়দায় লিখতে হবে।
# এখন কোন পজিশনে কাজ করছেন, কোন কোম্পানিতে, টোটাল চাকরির অভিজ্ঞতা এবং কোন কোন সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা তা লিখে ফেলুন।
#আপনার ডিপাটমেন্ট কোনটি তা লিখুন, আপনার সফটওয়্যার দক্ষতা কি কি এবং আপনার ভাষা দক্ষতা কি তা এখানে লিখুন।
# কাজের পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন দুইটি বুলেট পয়েন্ট করে। দয়া করে সেটি যেন এক পেজ না হয়।
# সবশেষে যেটা থাকবে সেটা হচ্ছে ফাংশনাল বিষয়। এখানে ফাংশনাল বলতে আপনার টপ একাডেমী কোয়ালিফিকেশন, সফটওয়্যার স্কিল ল্যাঙ্গুয়েজ স্কেল কে বোঝানো হয়েছে। ল্যাঙ্গুয়েজ কি লং সফটওয়্যার স্কিল সিভির ভিতরে আর লেখার দরকার হবে না।
৩। একটা Career Objective লিখে ফেলুন যা আপনার উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়। Career Objective এটি শুরু করতে পারেন To work in the role দিয়ে। সেখানে স্পষ্ট করে একটা সেন্টেন্সে আপনার উদ্দেশ্য প্রকাশ করুন। আপনি যে পজিশনে আবেদন করবেন সেখানকার থেকে ৩ কি এলিমেন্ট বের করুন এবং সেটাকে এক্সিলেন্স দেখান।
৪। Key Skills হিসাবে লিখুন আপনার skills গুলি। ৫*৩=১৫ টা Skills এখানে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে লিখতে পারেন। তার মানে হলো প্রতি সারিতে 5 টা করে ৩ সারি Skills লিখুন। কম অভিজ্ঞদের জন্য ৯ টা বা ১২ Skill লেখা যেতে পারে।
৫। Professional Work Experiences এর ক্ষেত্রে Company Name, Designation, Duration, Job Responsibilities and Achievements থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Job Responsibilities আপনার কোম্পানি যদি নিধারন না করে দেন তবে নিজে লিখুন। JR লেখার নিয়ম হল, আপনার বর্তমান কাজকে লিখুন এমন করে। যেমন : Planning, Organizing, Leading, Adapting। কাজের অর্জন লিখুন Managed, Monitored, Planned, Organized এমন করে। কি কি করেছেন তার থেকে কতগুলো করেছেন সেটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা অভিজ্ঞতার অর্জনগুলো (Key Achievements) আলাদা করে লিখুন রিসেন্ট জবের ক্ষেত্রে। তবে প্রিভিয়াস জবের কোন রেসপন্সিবিলি লেখার দরকার নেই। শুধুমাত্র এচিভমেন্ট লিখলেই হবে।
৬। Academic Qualification এর ক্ষেত্রে লাস্ট দুইটাও লিখতে পারেন। তবে মনে রাখা ভালো রিজুমি যত সাধারণ করা যায় তত ভালো। কোন প্রকার কালার বা সেড করা থেকে বিরত থাকি এবং যেখানে বোল্ড করা হয়েছে সেখানে ইটালি করার কোন দরকার নেই। যেটা সহজ করে বোঝান যায় সেটা ঘর কেটে কুমির আনার দরকার নেই। এখানে অনেকে ঘর কেটে কুমির আনেন তার দরকার হয় না Academic Qualification লিখুন বুলেট পয়েন্ট করে।
৭। Professional Qualification এর ক্ষেত্রে কি লিখবেন? মনে করেন আপনি supply Chain এ জব করেন এখন যদি আপনি একটা Professional Certification নিয়ে নেন সেই বিষয়ের উপর, তবে সেটি এখানে লিখুন বুলেট পয়েন্ট করে। আথবা যদি কোন Short Course করেন সেটার সময়কাল যদি তিন-ছয় মাস বা তার বেশি হয় তবে সেটাই আপনার Professional Certification।
৮। Training and Certifications কর্মজীবনে অনেক Training and Workshop যদি থাকে তবে সে সব এখানে লিখুন বুলেট পয়েন্ট করে। example: 05 days training on effective communication organized by Xyz company in 2025.
৯। Personal Information এখানে শুধু Date of birth সহ যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকু ব্যবহার করুন। তবে যদি কোন ক্ষেত্রে আরও কিছু দরকার হয়, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী ইনফরমেশন দেওয়া যেতে পারে।
১০। Memberships:
এ ছাড়াও Membership এডিশনাল ইনফরমেশন হিসাবে ভালো কাজে দিবে।
১১। References এর ক্ষেত্রে, দুইজন আপনার পরিচিত Corporate প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কে Reference রাখতে পারেন। এটি রেজুমিতে না রাখলেও কোন ক্ষতি নেই। তবে অনেকেই এটা অন রিকোয়েস্ট ও রাখতে পারেন।
এইতো হয়েগেল একটি গোছানো পূর্ণাঙ্গ সিভি।
Read Top 20 Career Related Articles: CV Format BD
- Top 10 Job Portal In Bangladesh
- LinkedIn Optimization In Bangladesh
- Automatic Interview Call By Optimizing Bdjobs
- CV Writing Price in Bangladesh
- CV Writing Process In Bangladesh
- Application For Job In Different Way
- Career Objective For CV Writing In Bangladesh
- Skills VS Willpower For Every Professional
- Boss Is Not Always Right!
- অলসতা, অজুহাত এবং ভয় আমাদের বড় শত্রু
- সকল পেশাজীবীর জন্য সিভি লেখার নিয়ম
- Success Story OF CV Writing
- How Can Identify Intelligent Employees?
- অনেকেই মনে করেন পড়ালেখা করা উদ্দেশ্য একটাই চাকরি করা
- ১০ সপ্তাহে খুজে নিন আপনার কাঙ্খিত চাকরিটি বা ব্যক্তিকে
- “১৫ টি লিংকড ইন হ্যাক্স”
- Who Gets CV Writing Service In Bangladesh?
- Presenting Yourself Is One Of The Most Important Skills
- Networking Is The King For Every Professional
- কোন পেশায় নিযুক্ত করব নিজেকে?