আপনার পরবর্তী স্তরের কর্মজীবন শুরু করুন

আপনার পরবর্তী স্তরের কর্মজীবন শুরু করুন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নবীনরা আমাকে মেসেজ করে বলেন আমি BBA, MBA করেছি। এখন কিছু কিছু চাকরিতে আবেদন করছি কিন্তু কোথাও কিছু হচ্ছে না। এখন আমি কি করতে পারি? আমাকে একটু সহায়তা করবেন, কিভাবে আমার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারি?

অন্যদিকে যারা অভিজ্ঞ প্রফেশনাল আছেন তারা বলেন আমি অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছি চাকরি পরিবর্তন করার কিন্তু কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছি না মার্কেটে আমার ডিমান্ড নাই, না কি মার্কেটে জব নাই। অনেক আবেদন করছি কোনো ফল হয়নি।

আমি 🗣️ দেখুন এটার কোন সহজ উত্তর আমার কাছে নাই, যা এককথায় প্রকাশ করা যায়।

কেন?

আমি 🗣️আপনি যেটা জানতে চাইছেন সেটা এমন যে এককথায় বলা সম্ভব নয়। তাই যদি থাকত তাহলে আমার লিংকডিনের ব্যানার ছবিতে সেটা লিখে রাখতাম যেন সেটা দেখা মাত্র যে কেউ করে নিতে পারেন। ক্যারিয়ার গড়তে অনেক বিষয়ের উপর নজর দিতে হয় এবং সেটা একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলরের কাজ। যেটা আমার কাউন্সিলিং এ সেখানো হয় ৬ ঘন্টা ধরে।


Apply Now এটার কোন সহজ সমাধান নয়। অনেকে বলেন প্রাইভেট জব কাউন্সিলিং মানে তারা Apply Now শেখান। কিছু মানুষ আবার বলবেন যা ছয় ঘন্টাতে সেখান তা এখানে একটু বলা যায় না?

 

হ্যাঁ, বলা যায়।

 

  • প্রথমে বলতে চাই আপনার পেশন কিসে?
  • কিসে আপনার ভালোলাগা?
  • সেটা কি কোন পেশা হতে পারে?
  • আপনি কি কাজ করতে চান সেটা জানেন?
  • আপনি কি আপনার জব সেক্টর পছন্দ করে ফেলেছেন?

 

  • দ্বিতীয়ত, সেই কাজগুলো কোথায় হয় বা কারা করে জানেন?
  • আপনার সেই কাজ করতে কি কি শিখতে হবে?
  • না কি কাজ ধরিয়ে দিলেই পারবেন?
  • নলেজ কতটুকু সেই কাজের উপর?

 

দেখুন, আপনি BSS, MSS, BBA, MBA বা Diploma যাই করেন সেটা বিষয় নয়। সেখানে রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কি কাজ করবেন সেটা কি রিলেভেন্ট ফিল্ডে? নাকি অন্য কিছু? তা ঠিক করুন। যদি ১০০ জন ইন্টারভিউতে কম্পিটিশন করে একটি জবের জন্য তাহলে কি জাজমেন্ট হতে পারে বুঝতে পেরেছেন?

 

আমার মামা-চাচা নাই তাই চাকরি হয় না। চাকরি যে শুধু মামা-চাচা দিবে তেমন কথা নাই ৷ সেটাও করে নেওয়া যায় এই কর্পোরেট জগতে। এই লেখা পড়ার পর আজ থেকে আপনি এই মামা-চাচা কথাটি ব্যবহার করবেন না। তাহলে এটাকে কি নেটওয়ার্কিং বলা যায়? না এটা শুধুমাত্র নেটওয়ার্কিং নয়, এটা কার্যকরী নেটওয়ার্কিং।

 

তৃতীয়ত, চাকরি খুঁজতে গেলে বা পরিবর্তন করতে গেলে দেখবেন ডিপ্রেশনের শেষ নাই। ফোকাস, টুলসের এবং সময়ের ব্যবহার না করলে এমনটি হওয়া সাভাবিক। ধরুন একজন চাকরি খোঁজার বা পরিবর্তন করার জন্য যত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় সে সব করে ফেলেছে, তাহলে সে এই বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠবেন। এবং পরবর্তীতে চাকরি পরিবর্তন করতে তার কোন সমস্যা হবে না । তিনি দিনে দিনে আরো পারদর্শী হয়ে উঠবেন।

 

আপনার চারপাশে হাজার হাজার মানুষকে দেখবেন তারা ক্যারিয়ারে নানান ধরনের ভুল করছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে আজ চাকরি ধরে কালকে ছাড়ে আবার শুরু করে আবার ছাড়ে। প্রমোশন নাই, ভালো স্যালারি নাই, পদোন্নতি নাই, নাই নাই বলতে কিছুই নাই। দুনিয়ার সব কোম্পানি এক নয়। তাদের খুঁজে বের করুন যে আপনাকে সাকসেশন প্লান দেখাবে, ট্যালেন্ট প্রোগ্রেশন করবে, আপনাকে রিটেন করতে পারবে।

 

আবার কিছু মানুষ আছে তারা সরাসরি বলেন আমকে একটা চাকরি দেন। চাকরি কি যে কেউ দিতে পারেন?

 

চাকরি মানে তাদের দিয়ে কিছু সমস্যা সমাধান করতে পারলে তারা কিছু পারিশ্রমিক পাবেন। শুনতে খারাপ শোনাতে পারে তবে এটাই বাস্তবতা। এর পর যদি তারা বোঝেন এই ব্যক্তিকে উপরে উঠিয়ে আরেকজনকে হায়ার করলে তাদের ব্যাবসা স্কেলআপ করা সম্ভব, তাহলে তারা সেটাই করবেন। এভাবেই এক সময় একটা কোম্পানিতে CXO level এর দরকার হয়। তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য Mid Level প্রফেশনালদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে মানবসম্পদ বিভাগকে কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয় এই কাজের জন্য। সব মিলিয়ে একটা পরিবার তৈরি হয়।

 

হালকার উপর ঝাপসা করে দিলাম 😄 যা বুঝতে খুব বেশি ইন্টেলিজেন্স হবার দরকার হবে না।

নবীন অবস্থায় যদি বলেন অভিজ্ঞতা কোথায় পাব তাদের জন্য আমার এ সামান্য লেখা।

পড়াশোনা করার পর চাকরির বাজারে প্রবেশ করলে আপনাকে এমন কথা শুনতে হবে। কেননা, যে সকল কোম্পানি আপনাকে হায়ার করবে তারা একটা সমস্যা সমাধান করাতে চায় আপনাকে দিয়ে। আপনি কি সেই সমস্যার কথা জানেন? সমাধান অনেক পরের বিষয়, আগে কি কি সমস্যার জন্য আপনি তাদের জন্য কাজ করবেন সেটা ঠিক করতে পেরেছেন? বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে এবং সেটা তারা সমাধান করতে কর্মদের সহায়তা নিয়ে থাকেন।

ধরুন, তাদের একজন ডিজাইনার দরকার। আপনি সেটা পছন্দ করছেন?

যদি হ্যাঁ হয় তবে, বিভিন্ন কোম্পানি কি কি ডিজাইন করে সেটা জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিলেন কি কি ডিজাইন করে এরপর, কোন কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে সেগুলো করতে, সেটা জেনে নিলেন। এখন, চাকরি না খুঁজে এই সফটওয়্যার গুলো মেনেজ করতে তেমন কোন সমস্যা হবার কথা নয়। এরপর, ৭২০ ঘন্টা এটার উপর মাস্টারি চলবে। ৭২০ ঘন্টা? ৮৩০৩=৭২০ ঘন্টা (৩ মাস প্রতিদিন ৮ ঘন্টা) এখন দেখবেন ১০ টির বেশি প্রজেক্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা আপনার। নবীনরা শুধু সিভি পলিশ না করে ১০ প্রজেক্ট লিংক সিভিতে দিয়ে দিয়েন।

এর পর কোথায় দিব সিভি? কার কাছে দিব? ১০০ টা কোম্পানিকে আপনি খুঁজতে পারবেন না এমনটি নয়। তাদের ইমেল আইডি কালেক্ট করা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। প্রতিদিন ১০ টা ইমেইল করাই যায়। সাথে সাথে এই ১০ টা কোম্পানি থেকে লিংকড-ইনের সবাইকে কানেকশন করে ফেলা যায়। এই ভাবে আরও ৮*৩*৩=৭২০ ঘন্টা পার করা যায় সাথে আরও ৫ টি প্রজেক্ট রেডি হবে না এমনটি নয়।

কাজটি যদি করতে পারেন ৬ মাসে একটা কাজের ব্যবস্থা হয়ে যাবে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। এটা শুধু ডিজাইন প্রফেশন হবে তেমন নয়, যেকোন বিষয় হতে পারে। কিছু কিছু পেশা আছে যেখানে এমন কাজের সুযোগ নাই সেখানে ফ্রিতে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।

ছয়মাস পরেও যদি চাকরি না হয় তবে প্লান বি:

সেই ৩*৩*৮=৭২০ ঘন্টা ধরে আবার কাজ শুরু। ১৫ টি প্রজেক্ট তখন দেখবেন আপনার কাছে ১০০০ টি কোম্পানির ডাটাবেইজ। এখন আপনি প্রতিদিন ১০ টি করে ইমেল করে ফেলুন, এবার চাকরির জন্য নয়। তাদেরকে ব্যাবসার কথা বলা যায়, আমি এটাতে অভিজ্ঞ। আমি আপনাদের এই কাজটা করে দিতে পারব। এখানে এসেও অনেক মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। দেখুন, একটি গাছ কিন্তু একদিনে ফল দেয় না। নিজে একটা গাছ লাগিয়ে দেখবেন শুরু থেকে তার উপর দিয়ে কি না বয়ে যায়। তার পর একসময় ফল দেয়। কখনো হাল ছাড়বেন না।

এর পরের ৬ মাসে দেখবেন লাখ টাকার উপরে কাজ করে ফেলেছেন। এমন কিছু কাজ আছে যেখানে অভিজ্ঞতা নেয়া সম্ভব নয়, সেখানে ফ্রি কাজ করা যেতে পারে। এর পর যা যা করেছেন তা সিভিতে লিখে ফেলুন। আবার application করুন দেখবেন চাকরি অফার চলে আসবে অনেক গুলো। যদি আপনি সাধনা করেন এই সময়টা আপনার, তখন কাজের কোয়ালিটি ও পারফরম্যান্স দেখে আরও ১০ টি কোম্পানি আপনাকে অফার করবে। আর যদি এভাবেই চলতে থাকেন তবে দেখবেন একদিন আপনি জায়ান্টে পরিনত হয়ে গিয়েছেন। বিশ্বাস করুন, অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। “No Excuse

নবীনদের জন্য সিভি সমাচার

নবীনদের সিভি সানদার হতে হবে, তাইলে চাকরি পাবেন তেমন নয়। তার কারন, আপনার তেমন কিছু নাই যে সেটা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। 

এর থেকে: 

১। তিন মাস সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত চাকরি খুঁজে চলুন বিভিন্ন মাধ্যমে। তাহলে একটা নয় পর পর ১০ টি জবের অফার চলে আসবে। না হলে নিজেই একটি কাজের সমাধান করে দিতে পারবেন। যেখানে যত বেশি সমস্যা সেখানে তেমনি কাজের সুযোগ তৈরি হয়।

২। নিজের কথা বলার জড়োতা কাটিয়ে ফেলুন। ভিডিও দেখে নিজে নিজে অভ্যাস করুন। ২০০৪ সালে আমিও কিন্তু হাবাগোবা একটা সাধারন ছেলে ছিলাম। আমাকে দিয়ে হবে না। এটা কি সম্ভব! না না তুমি পারবে না। কেমন করে বুঝলেন আপনাকে দিয়ে হবে না? করে দেখেছেন কখনো? ৭০,০০০ বার করে যদি দেখেন কিছুই হলো না, তাকে আপনি অসফল মনে করলেও এটাই তার অভিজ্ঞতা। তারই আলোকে কিছু করলে আপনিই পারবেন এক বিষাদ সাধনাকে বাস্তবে রুপ দিতে।

৩। নেটওয়ার্কিং: ডিফারেন্ট ডিফারেন্ট মানুষের সাথে পরিচিত হোন। কোন কিছুর আশা করে নয়, বারং সময়ের অপেক্ষা করুন।

৪। নিজের কি কি কমতি তা খুঁজে বের করুন এবং তার জন্য কাজ করুন কিভাবে নিজেকে উন্নত করা যায় তা ঠিক করুন। লাইফে কয়েকজন মেন্টর নির্বাচন করুন এবং তাদেরকে শুনুন।

৫। মস্তিষ্ক কিছুটা ফাকা রাখুন যেন কিছু ইনফরমেশন নিতে পারে সব সময়। নেগেটিভ মানসিকতা পরিহার করুন।

৬। ওপেন টু লার্নিং: কেউ একজন একা একা কিছু একটা বলছেন সেটা কিনা ক্যারিয়ার, নিজের ডেভেলপমেন্ট বা লাইফ স্কিল সম্পর্কে, তা মন দিয়ে শুনুন এবং সেটি ব্যবহার করুন।

৭। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্ক হোন। এটি আপনি ব্যবহার করুন, আপনাকে যেন ব্যবহার না করে।

৮। আচ্ছা, আপনি কেন চাকরির পেছনে দৌড়ে চলেন? চাকরি কেন আপনার পেছনে দৌড়ে আসে না? তার কারন আপনি অলস, কিছুই করেন নি এই শিক্ষা জীবনে।

৯। এখনি যদি ইয়ো ব্রো, ইয়া করে বেড়ান তবে ভবিষ্যত পরিবর্তন করতে সময় লাগবে তাই এগুলো পরিহার করুন।

আমি মনে করি আমি সারাজীবন নবীন থাকতে চাই কারন সেখানে অনেক সুযোগ আছে, আছে অনেক কিছু সেখার সুযোগ। 

সমস্যা সমাধান

এই পৃথিবিতে অনেক সমস্যার মধ্যে আপনি যেটা সমাধান করতে পারেন সেটাই আপনার কাজ। যেমন ধরুন আমি লিখতে ভালোবাসি। সেটাই আমার ভালো লাগা। এখনকার যুগে কি করব কি করব করতে করতে আমাদের যুবোক সমাজ অনেক সময় পার করে ফেলেন তার পরও হতাশা কাটিয়ে একটি কাজ করতে সক্ষম হন না। সাথে আরও কিছু বিষয় আছে সেগুলোতেও তারা সময় কাটান অনেক। সেগুলোকে আমি খারাপ বলছি না তবে একটু বাড়া-বাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

যাই হোক, সমস্যা সেটা লেখা হতে পারে, ডিজাইন হতে পারে, হতে পারে অনেক মানুষকে কোন বিষয় জানানো। নানান সমস্যা আমাদের চারপাশে। শুধু সময় বুঝে কাজে লেগে পড়তে হবে। এটাও একটা সমস্যা শুরু না করা। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ দেখবেন তারা কখনও কোন কিছু শুরু করতে ভয় পায়, কারন?

যদি না হয়!

যদি ফেল করি!

এটা করলে মানুষ কি ভাববে!

অমুক তো বিসি এস ক্যাডার আর আপনি কি ছেতা লেখেন!

অনেকে এমন পচা কথা শুনতেও নারাজ।

সত্যি কথা বলতে আমিও কয়েকটি বিষয়ে কাঁচা ছিলাম। সেগুলো আমার দারুন ভালো লাগা এবং আগ্রহও ছিল। তাই দেরি করিনি। শুরু করেছিলাম বলে আজ সেটাতে একটু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি।

তাই শুরু করুন, হাল না ছেড়ে চেষ্টা করুন সফলতা আসবেই।

ডাবল এফোর্ট

একটা সময়ে জানতাম আমাকে কিছু করতে হবে। ইচ্ছা করলেও হবে না, আমাকে পরিশ্রম করতে হবে। টাইম সবারই সমান জনাব Elon Musk এর হাতে রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমারও একই। তুলনা করছি না! উনি কোথায় আর অমৃত কোথায়। তাহলে আপনি কেন নয়? প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন। আর যদি অজুহাত দেখান তবে পারবেন না, হা পারবেন না। ডানহাত-বামহাত করে অনেক কিছু করা যায় কিন্তু অজুহাত দিয়ে কোন কিছু হয়না।

একজন কাজ করছেন ৯ ঘন্টা আরেকজন ১৮ ঘন্টা। শুরুতে কোন ইফেক্ট বুঝতে পারা যায় না। বুঝবেন তখনি যখন দেখবেন বছর শেষে কেউ কাজ করছে ২৫০০ ঘন্টা আবার কেউ কেউ ৫৩০০ ঘন্টা। তাহলে বুঝতে পেরেছেন সফলতার আরেক নাম কি? আজ পর্যন্ত যারা সফল তারা এটাই ফলো করে আসছেন। একটা সময় পরে দেখবেন এই ১৮ ঘন্টা আপনার জন্য কিছুই না। তখন আরাম করতে পারবেন আর জীবনকে উপলব্ধি করতে কাজ ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নাই।

আমার জীবনের সর্বস্ব চলে গেছে তাই বলে আমি কিছু করে দেখাতে পারব না, এটা তো চলে যায় নি! আমি হয়তো বিসি এস দিতে প্রস্তুত নই তবে লেখাতে তেমন কিছু লিখেছি সেটা এই প্রমান করে বিসি এস সামান্য একটা পদ মাত্র। যদি বলেন করে দেখান? আমি জানি আমি পারব কিন্তু আপনাদের যেটা দরকার সেটা দিতে পারব না হয়তো, তাই মাফ করবেন।

অথচ এতদিনে আমার নিজের গল্পটা আমি তৈরি করিনি কেমন করে হয়ে আসছে জানি না। আজ পর্যন্ত যা আমার সাথে ঘটেছে সেটা ঘটনা, এখন থেকে যেটা ঘটবে সেটা পরিকল্পিত। যে পথে আমার বিচরণ তা খুবই দুর্গম, তার তোয়াক্কাও করছি না। একটা বিতর্কে শুনেছিলাম রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর বলতেন আর ১০ জনে লিখতে হিমশিম খেতেন। আমি শুধু সেটা অনুসরণ করেছিলাম।

আমি শুরুতে তাদের জন্য কাজ করি যারা নিজেকে জানতে চায়, আরও এগিয়ে রাখতে চায় নিজেকে। আমি তাদের হাতেই হাত রাখি যে বড় একটি প্রাচীর টপকাতে চায়। তাদের কাছথেকে কি পাচ্ছি, সেটা ভাবছি না এখন। ১০ বছর পরে যখন দেখা যাবে মানুষগুলো কেমন বদলে গেছে হটাৎ করে, তখনই আমার চাওয়া পুরন হবে। তখন আমি বলব “তুমি করেছ এই জীবন মোরে দান, সবই তো তোমারই অবদান” আমি উছিলা মাত্র।

অবশ্য শুরুতে কত দিনকে দিন মনে করিনি, রাতকে রাত তার পরেও লেগে থাকার নামটাই সফলতা, যেটা সবাইকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদন্তে

অমৃত মন্ডল, ক্যারিয়ার কোচ